মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

মায়ের বুকের দুধ বাড়াবে রান্নার এই উপকরণগুলো

নতুন মায়ের মিল্ক ফ্লো বাড়াবে ঘর থাকা উপকরণগুলো। আমরা অনেকেই প্রথম মা হওয়ার পর অনেক রকম দুশ্চিন্তায় থাকি।তার মধ্যে অন্যতম হলো নবজাতক শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ না পাই। শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ শুধু সর্বোত্তম খাবারই নয়, শিশুর শরীরের অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে। শিশুর মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে।

 শিশুর দুধ পান কেবল শিশুই নয়, মায়ের জন্যও উপকারী। সন্তানকে দুধ পান করানোর কারণে অতিরিক্ত ওজন, ওভারিয়ান ক্যান্সার ও বেস্ট ক্যান্সারের জুকি কমে যায়। সন্তান জন্মের পর অনেক মায়েরই বুকের দুধ পর্যাপ্ত হয় না। এতে শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। তাই মায়ের দুধে বিকল্প কিছু না খুঁজে, বরং মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।



নিয়মিত খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপকরণে পানিও তৈরি করে মায়ের বুকে  দুধ বাড়ানো সম্ভব। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চার সঠিক পুষ্টির যোগান আসে। জন্মের পরবর্তী সময় থেকে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া পানি ও পান করানো যাবে না। সেজন্য অবশ্যই মায়ের খাদ্য তালিকা হতে হবে সুষম ও স-নিয়ন্ত্রিত, চলুন এমন কিছু উপাদান ও পানীয় সম্পর্কে জেনে নেই।

মৌরি



                                                                                            
প্রকৃতির এই উপাদান শরীরের স্ট্রোজন লেভেল বাড়িয়ে তোলে। আমাদের প্রত্যেকের রান্নাঘরে মৌরি থাকে।মৌরি খাওয়ার ফলে মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন ঠিক থাকে।চাইলে অন্তসত্ত্বা অবস্থাতেও নিয়মিত মৌরি খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে মুভি ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে চা বানিয়ে খান।আমরা অনেকেই চা খেতে পছন্দ করি না। সেক্ষেত্রে চা খেতে না চাইলে সারারাত মৌরি ভেজানো পানি পরদিন সকালে খেয়ে নিন।এই ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।

মেথি


                           

মেথি আমাদের সকলেরই পরিচিত একটি উপাদান। মেথি আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনে মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মেথিতে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান, যা মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা মেথি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় খেতে পারি। রাতে একটি পাত্রে মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি ছেকে খেতে পারেন। অথবা মেথির চা-ও খেতে পারেন। দুটিই সমান উপকারি।


জিরা 




 জিরা আমারা সাধারণতো মসল হিসেবে রান্নর স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি। সে-ক্ষেত্রে প্রায় কম-বেশি সবার রান্না ঘরেই জিরা থেকে। জিরা আয়রনের সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকরআরে । জিরা দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং নিশ্চিত করে যে সৃষ্টির সমস্ত সঠিক পুষ্টি পায়।

গরম মসলা                                                                                                                                                       


 
আমরা অনেকেই জানিনা, একজন নতুন মায়ের জন্য গরম মসলা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত গরম মসলা আমাদের রান্ন  ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই তৈরি করা হয়। গরম মসলার সাধারণত গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, ধনেবীজ, জিরাবীজ, মৌরিবীজ, জায়ফল ও তেজপাতা দিয়ে।
 
গরম মসলা দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তের শর্করা মাত্রা কমায়।তাছাড়া ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। গরম মসলা শরীরের ইস্ট্রোজেনের মত কাজ করতে পারে। এটি শরীরকে উষ্ণ করতে পারে বলে এর নাম গরম মসলা।তাই গবেষকরা বলেছেন, গরম মসলার এই ব্লেন্ড দুধের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারে।

তাই নতুন মায়ের জন্য গরম মশলা খুবই উপকারী। তবে গরম মসলা শুধু নতুন মায়ের জন্য উপকারী নই,যাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস, দাঁতের ব্যথা ও দাঁতের ক্ষয় এবং ক্যান্সার প্রতিকারক উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।

বেদানা



বেদানা কার না প্রিয়। ক্লান্তি মেটাতে এক গ্লাস বেদানার জুস সবারই পছন্দ। সেই সঙ্গে বেদানা তে রয়েছে অসংখ্য ওষুধি গুনাগুন। নতুন মায়েদের মধ্যে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমান বুকের দুধ থাকেনা। যা নতুন মায়েদের জন্য খুবই দুশ্চিন্তার একটি বিষয়। বেদানার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।

গর্ভাবস্থা থেকে যদি বেদানার রস নিয়মিত খেলে বুকের দুধ তৈরির পাশাপাশি রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করবে।তবে শুধু গর্ভবতী মায়েদের জন্যই নয়, ডায়রিয়া, শীতের সময় জ্বর, ঠান্ডা, কাশি থেকে বাঁচার জন্য বেদানার জুস খুবই উপকারী। অনেক সময় বমি ভাব দূর করতে হলে মধু ও বেদানা রস সম পরিমাণে মিশেয়ে পান করুন। 

রসুন



প্রাচীনকাল থেকে রসুনের বৈচিত্র সাধ ও পুষ্টিগুণের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। প্রতিদিনের খাবারে রসুন এর নিয়মিত ব্যবহার দেখলে বোঝা যায় যে রান্নায় এর প্রাধান্যতা আমাদের কাছে কতটা বেশি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডিম গবেষণা খেতে পারেন।

আমরা অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে পারি না, সে ক্ষেত্রে এক কাপ পানিতে তিন কোয়া রসুন সেদ্ধ করুন।রসুন সিদ্ধ হবার পর পানির পরিমাণ কমে গেলে তাতে এক চামচ মধু যোগ করে খেয়ে নিন। এই পানীয়টি আপনার বুকের দুধ বাড়াতে কার্যকর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় কাঁচা  রসুন খাওয়া উচিন নয়।

গাজর                                                                                                                                                                          


                                                                                   
গাজর একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। নানা প্রকার খাদ্য তৈরিতে গাজর ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যবহার সালাদে এর ব্যবহার ব্যাপক।গাজার কে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলস যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকায় বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর জন্য গাজরের জুস মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী।

 
                                                                                 












                                                                                                                                                     

                                                                                
                                                   
       


       



              


                                             
                                                               
               
                                                                  





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url