শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা
শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা অনেক। নতুন বাবা-মা হওয়ার পর আমরা শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করি।শিশুর যত্নের একটি বড় অংশ হলো শিশুর পুষ্টিকে বোঝা। শিশুর জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু পুষ্টিকর খাদ্য হলো দুধ। অধিকাংশ চিকিৎসক বর্তমানে শিশুর জন্য ছাগলের দুধে পরামর্শ দেয়।
প্রিয় পাঠক, বাচ্চাদের ছাগলের দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আর্টিকেলের মধ্যে
বিস্তারিত আলোচ করা আছে। এই আর্টিকেলটি আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে অনেকগুলো
পয়েন্ট আকারে লেখা আছে। তাই দয়া করে এই
আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন। সেক্ষেত্রে
ছাগলের দুধ সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের ছাগলের দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- শিশুদের ছাগলের দুধ খাওয়ার উপকারিতা
- আপনি কখন শিশুকে ছাগলের দুধ দেওয়া শুরু করতে পারেন?
- ছাগলের দুধ কি আপনার শিশুর জন্য নিরাপদ?
- শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা
- ছাগলের দুধের অপকারিতা
- ছাগলের দুধের গুনাগুন
- ছাগলের দুধের দাম কত?
- একটি শিশুর জন্য ছাগলের দুধের রেসিপি
- আপনার শিশুর জন্য ছাগলের দুধ কেনার প্রয়োজনীয় টিপ
- শেষ কথাঃ শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে
শিশুদের ছাগলের দুধ খাওয়ার উপকারিতা
শিশুদের ছাগলের দুধ খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। প্রথম বাবা-মা হিসেবে আমরা
অনেকেই শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকি। ছাগলের দুধে রয়েছে অনেক
পুষ্টিগুণ। যা শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ছাগলের দুধ খাওয়ার
অর্থ, মায়ের বুকের দুধ খেলে যে পরিমাণ উপকার পেয়ে থাকে শিশু।ছাগলের দুধ গরুর
দুধের চেয়ে উপকারিতা বেশি কারণ ছাগলের দুধ অনেক ঘন হয়ে থাকে।
যে সকল শিশুদের হার দুর্বল ছাগলের দুধ পান করতে পারলে তাদের হাড় শক্ত
হবে।বয়সের তুলনায় যেসব শিশুদের গঠন, বৃদ্ধি, পুষ্টি পাইনা তাদের নিয়মিত ছাগলের
দুধ খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি ঘটবে এবং বাচ্চাদের
স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
তাই অবশ্যই ছোট থেকে বড় সকলেরই ছাগলের দুধ নিয়মিত খাওয়া উচিত। অনেক বয়স্ক
মানুষ আছে যারা হাঁটতে চলতে পারেনা, পায়ের ব্যথা, হাটু ব্যথা, মাজা ব্যথা,
বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত ছাগলের দুধ পান করুন। নিয়মিত ছাগলের দুধ পান
করলে আপনাদের সকল সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
আপনি কখন শিশুকে ছাগলের দুধ দেওয়া শুরু করতে পারেন?
প্রতিটি বাবা- মা এর উচিত শিশুর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল দওয়া। শিশুর স্বাস্থ্য
বিষয়ক সচেতন থাকা এবং সঠিক পরামর্শ নেওয়া। তবে এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে ছাগলের
দুধ বুকের দুধ খাওয়ানোর বিকল্প নয়। মায়ের বুকের দুধের সমতুল্য আর কোন কিছুই
নয়। এর অর্থ এখনো আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বা বোতল খাওয়ানো দরকার।
সাধারণত চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে আপনি আপনার সন্তানকে ছাগলের দুধ বা
ছাগলের দুধ দিয়ে তৈরি পণ্যগুলো তার বয়স ৯ মাস হওয়ার পর খাওয়ানো শুরু করুন। আগে
দিলে যে কোনও শিশুর পুষ্টি ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময়ে শিশুকে ছাগলের দুধ খাওয়ানো উচিত।
ছাগলের দুধ কি আপনার শিশুর জন্য নিরাপদ?
ছাগলের দুধে ল্যাকটোজ নামে এক উপাদান থাকে। পচনতন্ত্র গুলিতে বিভক্ত হওয়ার জন্য
এটি সাধারণত কোনও খাদ্য গ্রুপের অন্যতম শক্ত উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। ঐতিহ্যগত
ভাবে ব্যবহৃত গরুর দুধে, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হলেও এতে প্রচুর ল্যাকটোজ রয়েছে।
এটি একটি শিশুর পক্ষে হজম করে তুলতে কঠিন করে তোলে। নবজাতক শিশুর জন্য ছাগলের দুধ
পুরোপুরি ল্যাকটোজ মুক্ত নয়, তবে এর পরিমাণ কম রয়েছে বলে জানা যায়।
তাহলে ছাগলের দুধ সোয়া দুধ, চালের দুধ বা বাদামের দুধের মত বিকল্প গুলোর
চেয়ে স্বাস্থ্যকর কেন? কারণ ছাগলের দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি
এবং এটি পুষ্টিগতভাবে শিশুদের জন্য আরো ভালো। দুধ শিশুর ডায়েটের একটি অপরিহার্য
অঙ্গ, কারণ দুধে পাওয়া যায় এমন পুষ্টি যেটাথেকে শিশুর শরীর বিকাশিত হয়।
সোয়া দুধের মত বেশিরভাগ গরুর দুগ্ধজাত নয় এমন দুধজাত পণ্য প্রাপ্তবয়স্কের
জন্য স্বাস্থ্যকর, তবে শিশুর বিকাশীত শরীরের জন্য ছাগলের দুধ আপনার সন্তানের
পক্ষে বেশি উপকারী হতে পারে।
শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা
আমরা অনেকেই ছাগলের দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানি না। ছাগলের দুধে অনেক
পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার মধ্যে আপনার বাচ্চাকে ছাগলের দুধ দেওয়ার অনেক সুন্দর
থাকতে পারে, এর কয়েকটি হলো:
এলার্জির ঝুঁকি কমঃ
গরুর দুধে এমন প্রোটিন থাকে যা আপনার শরীরের এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গরুর দুধে ল্যাক্টোজ এর উপস্থিতি অনেক রয়েছে। এলার্জি যুক্তদের ল্যাকটোজ
অসহিষ্ণুতা নামে একটি সমস্যা থাকে। এই অবস্থানটি আপনার শিশুর জন্য মারাত্মক
অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। অপরদিকে ছাগলের দুধে যথেষ্ট কম ল্যাকটোজ রয়েছে। এর
অর্থ ছাগলের দুধ পানের ক্ষেত্রে এলার্জির ঝুঁকি কম। ছাগলের দুধ গরু এবং মহিষের
দুধের মতো অ্যালার্জেনিক নয়।
ভালো ফ্যাটঃ
গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধ হজম করা সহজ, এতে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয়
ভালো ফ্যাটগুলোর উচ্চতার উপাদান রয়েছে। এর অর্থ হল আপনার শিশু ছাগলের দুধকে আরো
ভালোভাবে হজম করতে পারবে এবং তাদের দেহের ভালো ফ্যাট শোষণ করতে পারবে। এই ভালো
ধরনের ফ্যাট আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
অন্ত্রের জন্য ভালোঃ
ল্যাকটোজ ভেঙে ফেলা অত্যন্ত কঠিন এবং এটি হজম করার প্রক্রিয়াও ধীর হয়।
ল্যাকটোজের সাথে আরেকটি সমস্যা হল এটি একটি অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। ছাগলের
দুধে কম পরিমাণে ল্যাকটোজ থাকায় আপনার শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে
সহায়তা করতে পারে।
প্রিবায়োটিকঃ
বেশিরভাগ দুধে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা প্রি বায়োটিক বা প্রোবায়োটিক
হিসেবে পরিচিতি। অন্যান্য দুগ্ধভিত্তিক দুধের সাথে তুলনা করলে ছাগলের দুধের
প্রিবায়োটিক বেশি থাকে। এটি আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে এবং ভালো পরিমাণে
স্বাস্থ্যকর অন্ত্রে ও হজম-ভিত্তিক ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরল কমঃ
ছাগলের দুধে কম পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল থাকে এবং সাধারণভাবে সমস্ত ধরনের
কোলেস্টেরল কম থাকে। এটি প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের উভয়ের জন্য খুবই
স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। কারণ জীবনের পরবর্তী সময়ে কোলেস্টেরল
ভারসাম্যহীনতা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এর মত সমস্যার কারণ হতে পারে।
ছাগলের দুধে অপকারিতা
ছাগলের দুধে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে। অতিরিক্ত ছাগলের দুধ
খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া স্বাস্থ্যের
জন্য ভালো নেয়। ছাগলের দুধ অনেক ঘন হবার জন্য, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দিতে পারি। যে সকল সমস্যা তাহলো আমাশা, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বদ হজম,
গ্যাস্ট্রিক, বমি হওয়া ইত্যাদি আর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ছাগলের
দুধ রান্না করার সময় অবশ্যই দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে রান্না করতে হবে।
এতে এ সকল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই আমরা কোন কিছু খাবার আগে
সেটা ঠিকমতো খাওয়ার উপযোগী করে তুলতে হবে। এরপর যদি এটা খাওয়া যায় তাহলে শরীরে
কোন অপকারিতা দেখা দেয় না। তাই আমরা ছাগলের দুধ নয় যে কোন খাবার খাব কিন্তু অনেক
সতর্কতার সহিত ভালো। কারণ যে কোন জিনিসের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন অপকারিতা ও
রয়েছে এটা আমাদের সবাইকেই মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করতে
হবে।
ছাগলের দুধের গুনাগুন
ছাগলের দুধে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন যা আমাদের শরীর ভালো রাখতে
সাহায্য করে। ছাগলের দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালোরি এবং ফ্যাটের বিভিন্ন উৎস।
আমাদের শরীরের হাড়ের জন্য যে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন তার বেশিরভাগই ছাগলের দুধের
মধ্যে রয়েছে। তাই ছাগলের দুধ বয়স্ক মানুষদের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে।
কারণ
তাদের ক্যালসিয়াম বয়সের কারণে অনেক কমে যায়। তাই তাদের নিয়মিত ছাগলের দুধ
খাওয়ালে তাদের হাতে পায়ে যে সমস্যা তা অনায়াসেই দূর হয়ে যাবে। কেউ যদি সারাদিনই এক গ্লাস ছাগলের দুধ পান করে তাহলে তার সারাদিনের সকল ক্লান্তি
দূর হয়ে যাবে। সে সারাদিন যদি কোন পুষ্টিকর খাবার নাও খায় তাহলেও তার ভিটামিনের
কোন অভাব হবে না। তাই এখন অনেক মানুষ গরুর দুধের বদলে ছাগলের দুধ খেয়ে থাকেন।
কারণ ছাগলের দুধে অধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কারণ গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে
প্রতি কাঁপে প্রায় ১২ শতাংশ ল্যাকটোজ থাকে। যার কারণে শরীরের গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা এবং এলার্জির সমস্যা হয় না গবেষকরা বলেছেন বাচ্চা হওয়ার পর যদি কোন
বাইরের দুধ খাওয়াতে চান তাহলে ছাগলের দুধ খাওয়াতে পারেন।
ছাগলের দুধের দাম কত?
ছাগলের দুধ গরুর দুধের চেয়ে দাম বেশি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ছাগলের দুধের দাম ২০০
থেকে ৫০০ টাকা। কারণ ছাগলের দুধের অধিক পুষ্টিগুণের জন্য মানুষ গরুর দুধের বদলে
ছাগলের দুধ খাচ্ছেন। ছাগলের দুধে কোন এলার্জি সমস্যা বা গ্যাস্টিকের সমস্যা
হয়না। পাউডার আকারে ছাগলের দুধের দাম ১৮০ টাকা। পাবেন মাত্র ৫০০ গ্রাম। এছাড়া
এখন বাচ্চা হবার পর যদি বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ না পায় তাহলে চিকিৎসক ছাগলের
দুধ অথবা পাউডার দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার সহজ উপায়
ছাগলের দুধের মধ্যে কিছুটা মায়ের দুধের গুনাগুন রয়েছে। যা বাচ্চাদের
শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয় না। কারণ গরুর দুধ খাওয়ালে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট অথবা
নিউমোনিয়া এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিন দিন ছাগলের দুধের দাম
অনেক বেড়ে যাচ্ছে।অধিকাংশ মানুষ রূপচর্চার কাজে এই ছাগলের দুধ ব্যবহার করছে কারণ
ত্বকের জন্য এই ছাগলের দুধ অনেক উপকারী ত্বক সুন্দর রাখতে ছাগলে দুধের
প্রয়োজনীয়তা অনেক।
একটি শিশুর জন্য ছাগলের দুধের রেসিপি
ছাগলের দুধের দুর্দান্ত অংশটি হলো এটি গরুর দুধের বদলে একইভাবে ব্যবহার করা যেতে
পারে। নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি ছাগলের দুধ সিদ্ধ করেছেন বা পেষ্টুরাইজড ছাগলের
দুধ কিনেছেন, যাতে আপনার শিশুর অসুস্থ না হয়। আপনি আপনার বাচ্চাকে ছাগলের দুধ
বোতল থেকে খাওয়াতে পারেন, এবং তাদের বয়স যদি যথেষ্ট হয় তবে আপনি চকলেটের সাথে
মিশ্রিত করতে পারেন, বা এটি সিরিয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার শিশুর জন্য ছাগলের দুধ কেনার প্রয়োজনীয় টিপস
যে কোন উপাদানের মত, আপনার সন্তানকে ছাগলের দুধ খাওয়ানোর সময় কয়েকটি বিষয় মনে
রাখা উচিত, এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো:
- ছাগলের দুধে ফোলিক এসিড কম থাকে। এটি শিশুর পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সর্বদা আলাদা করে যুক্ত ফোলিক এসিডসহ ছাগলের দুধ কিনুন।
- ভিটামিন বি-১২ আপনার শিশুর ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গরুর দুধে এর পরিমাণ বেশি থাকে, তাই আপনার বাচ্চা যদি ছাগলের দুধ খেতে থাকে তবে নিশ্চিত করুন যে আপনি তাদের কিছু পরিমাণে ভিটামিন পরিপূরক সরবরাহ করছেন।
- আপনার বাচ্চা ছাগলের দুধ বা অন্য কোন দুধের সাথে ডিহাইডেট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, নিশ্চিত করুন আপনার শিশু নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকছে কিনা।
আপনার বাচ্চার জন্য কোনও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা স্থানান্তর করার আগে চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার শিশুর ডায়েট কখনো কঠোর পরিবর্তন
করবেন না। ধীরে ধীরে এটি তৈরি করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বাচ্চা যদি কোন
খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে একজন ডাক্তার দেখান। সঠিক চিকিৎসা
গ্রহণ করুন এবং পরামর্শ নেন।
শেষ কথাঃ শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
শিশুদের জন্য ছাগলের দুধের উপকারিতা অপরিসীম, বরং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
প্রতিটি মা-বাবা শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা করে। অনেক মা-বাবা শিশুদের
ছাগলের দুধ খাওয়াতে সংকোচ বোধ করে। ছাগলের দুধে রয়েছে অধিক পরিমাণে পুষ্টি। যা
শিশুর বিকাশে সহায়তা করে। আমরা অনেকেই ছাগলের দুধের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে
জানিনা। আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন পড়ে থাকেন।
তাহলে আশা করছি, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শিশুকে ছাগলের দুদ খাওয়ার
সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাদের এ আর্টিকালে শিশুদের জন্য
ছাগলের দুধের উপকারিতা, ছাগলের দুধের উপকারিতা, ছাগলের দুধের গুনাগুন, ছাগলের
দুধের দাম, শিশুকে কখন ছাগলের দুধ খাবেন ইত্যাদি সম্পর্কে সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ
করা আছে।
আজকের এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই, ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। বাচ্চাদের ছাগলের দুধ খাওয়ার উপকারিতা
এরকম আরো অনেক ধরনের নতুন আর্টিকেল দেখতে এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন, সুস্থ
থাকুন ভালো থাকুন।
মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url