শরীর সুস্থ ও ফিট রাখার জন্য সঠিক ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের
প্রত্যেকেরই শরীরের সুস্থতার জন্য আদর্শ ওজন থাকা জরুরী। শরীরের জন্য যেমন
অতিরিক্ত ওজন ভালো নয়, ঠিক তেমনই স্বাভাবিক এর থেকে কম ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
নয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের ব্যক্তিদের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত
শরীর চর্চা, নিয়মিত ওজন বাড়ানোর ব্যায়াম, সঠিক জীবন যাপন পদ্ধতি।
ওজন কম থাকার কারণে শরীরের অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। ওজন কম থাকার ফলে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শরীরের দুর্বল হয়ে যায়, অলসতা কাজ করে, আর শরীর
চাহিদার তুলনায় ঠিকমতো পুষ্টি পাওয়া যায়। দ্রুত ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুষম
খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করা আবশ্যক। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সঠিক
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার মাধ্যমে সুষম ওজন বাড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে সকালে
নাস্তায় আমরা কি খাচ্ছি, তা আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সমূহ
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আমরা সকলেই বিস্তারিত জানতে চাই। দ্রুত ওজন
বৃদ্ধি যেমন খুব সহজ নয় তেমন খুব কঠিন বিষয় ও নয়। আমরা যদি পুষ্টিকর খাদ্য খায়,
নিয়মিত ব্যায়াম করি, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকি, পরিমাণ মতো ঘুমায় তাহলে খুব সহজেই
বৃদ্ধি করতে পারব। আর আমরা যদি এগুলো বিষয় মেন্টেন করতে না পারি তাহলে কখনোই
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারব না। সে ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করা আমাদের জন্য
কঠিন বিষয়ে দাঁড়াবি। আমাদের শরীর যখন সুস্থ থাকে তখন মন সুন্দর থাকে।
শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। আমাদের শরীর যদি সুস্থ না থাকে আমাদের মন
কখনোই ভালো থাকবে না। তাই সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ওজনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে
হবে। অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, ঠিক তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন
আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম জটিল রোগের বাসা বাঁধার কারণ হতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিয়মিত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দূরত্ব ওজন বাড়াতে আবশ্যক।
কি কারনে ওজন কম থাকে?
ওজন কম থাকার পেছনে অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। মানসিক চাপের কারণেও অনেক সময়
ওজন কমতে থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় শরীরে পুষ্টি উপাদান ও ক্যালসিয়ামের অভাবে
ওজন কমতে থাকে। ওজন কম হওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত মানসিক ও দুশ্চিন্তা শরীরের ক্ষয় সৃষ্টি করে। একটা মানুষ কখনো পুরোপুরি
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পারেনা। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে ফিট রাখতে আমাদের
চেষ্টা করতে হবে সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে।
হজম সমস্যা কারণেও ওজন কমতে থাকে। আমরা অনেকে এসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের
ভুক্ত ভোগী। হজম শক্তি কম থাকার কারণে আমাদের খাওয়ার প্রতি কোন চাহিদা বা আগ্রহ
থাকে না। হজম শক্তির কম থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কম হয়ে যায়।
থাইরয়েড সমস্যা বা হরমোনের অস্বাভাবিকতার কারণেও দ্রুত ওজন কমে যায়। যারা
ডায়াবেটিসের রোগী আছে। তারা অধিক স্বাস্থ্যবান হওয়ার ফলেও ডায়াবেটিসের কারণে
ধীরে ধীরে রোগা হয়ে যাচ্ছে। ওজন কমানোর জন্য ডায়াবেটিস একটি মূল কারণ।
ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা শুধু ওজনই কমায় না শরীর নষ্ট করে দেয়।
পুষ্টিহীনতার কারণে ওজন কমতে থাকে। দেহের চাহিদা অনুযায়ী খাবার না খাওয়ার ফলে,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। নিয়মিত খাবার না খাওয়ার
ফলে আমাদের ওজন কমতে থাকে। আমরা অনেকেই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করি না খাওয়ার প্রতি
রুচি নেই। এরকমভাবে খাবার গ্রহণ করলে স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কমে যায়। যাদের
খাওয়ার প্রতি অনীহা রয়েছে তাদের ডাক্তার দেখানো উচিত ও ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক।
ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট
দ্রুত ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ডায়েট চার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী
খাবার গ্রহণ না করলে আমরা কখনোই দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবো না। ডায়েট চ্যাটের
মাধ্যমে সকালের নাস্তা দুপুর ও রাতে খাবার এবং হালকা নাস্তা হিসেবে কোন খাবারগুলো
খাওয়া যেতে পারে, কখন খাওয়া যাবে, কি পরিমাণে খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে তুলে ধরা
হবে। ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্টের নিয়ম গুলো যানতে নিচের লেখাগুলো পড়ুন।
সকালের নাস্তা
দ্রুত ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো খাওয়া উপযুক্ত, তার
মধ্যে রয়েছে দুধ কলা ডিম ও খেজুর।
দুধঃ দুধ পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ একটি খাবার। আমাদের শরীরের সব ধরনের পুষ্টি
উপাদান আসে দুধ খাওয়ার মাধ্যমে। দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের
শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। দুধে রয়েছে ভিটামিন বি-১২, যা
আমাদের শরীরে রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্ত শূন্যতার ঘাটতি পূরণ করে। দুধ
শরীরের রক্ত উৎপাদন তৈরি করার ফলে দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
আমরা অনেকেই মনে করি দুধ কখন খাওয়া ভালো এবং কিভাবে খাওয়া ভালো।
সেক্ষেত্রে আমি বলি দুধ চাইলে আমরা অন্যান্য খাবারের সাথে খুব সহজেই এক গ্লাস দুধ
খেয়ে নিতে পারবো।আবার ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তায় এবং রাতের খাবারের পর দুধ
খাওয়া ভালো। সেক্ষেত্রে আপনারা লক্ষ্য করবেন খুব দ্রুতই আপনাদের ওজন বৃদ্ধি করতে
শুরু করবে।
কলাঃ কলা আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। এছাড়া খুব সহজলভ্য একটি খাদ্য, সারা
বছরই প্রায়ই বাজারে পাওয়া যায়। কলায় ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করাতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার, যা হজমের
সাহায্য করে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। কলা খাওয়ার সেই রকম ঝামেলা
নেই, আমরা যেকোনো সময় ১টা থেকে ২ টা কলা নিয়ে খোসা ছিলে সহজেই খেয়ে নিতে পারব।
সেক্ষেত্রে বাড়তি কোন সময়ের প্রয়োজন নেই।
ডিমঃ প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন হলো ডিম। আমরা অনেকেই শুধু ডিমের সাদা অংশ
খেতে পছন্দ করি, আবার অনেকেই কুসুম খেতে পছন্দ করি। ডিমের সাদা অংশ কলেস্টরল ছাড়া
কিছু প্রোটিন সরবরাহ করে। আর কুসুমে থাকে ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। ডিমে আছে
ভিটামিন এ, যা দৃষ্টি শক্তি ভালো আছি। আর কুসুমে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা আমাদের
হাড়ের জন্য ভালো। ডিম সব সময় পাওয়া যায় বলে এটি খুব সুলভ মূল্যেই পেয়ে যাবেন।
ডিম আমরা প্রায় সব খাবারের সঙ্গেই খেয়ে থাকি। তাই দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালে
নাস্তায় ডিম পোচ ও রাতের খাবারের পর সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতে পারে।
খেজুরঃ খেজুর এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুপরিচিত। প্রায় সবাই আমরা
খেজুর খেতে খুব পছন্দ করি। খেজুরের বিদ্যমান ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন,
ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণের সংমিশ্রণ। খেজুরের
ম্যাগনেসিয়াম আছে যার ফলে খেজুর খেলে দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
এছাড়াও আইরন আর ফলিক এসিড রয়েছে যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। ফাইবার হজমের
সাহায্য কর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সেক্ষেত্রে সকালে ৫-৬ টা খেজুর খাওয়ার ফলে ওজন
বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
দুপুরের খাবার
ডালঃ পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি হল ডাল। আমরা অনেকেই ডাল খেতে পছন্দ
করি। প্রায় আমরা দুপুরের খাবার জন্য ডাল ব্যবহার করি। ডালে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন ও আমিষ। এছাড়াও ডালে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম সহ
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই সবগুলো পুষ্টি উপাদানই সুস্থ শরীরের জন্য
আবশ্যক। পাতলা ডালের তুলনায় ঘন ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। ডাল
হচ্ছে প্রিবায়োটিক খাবার। পেটের ভেতরের উপকারী জীবাণু গুলোকে সুস্থ রাখার জন্য
ডাল খাওয়া অপরিহার্য। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্টে
দুপুরের খাবারের ডাল রাখা অপরিহার্য।
টক দইঃ টক দই খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ টক দইয়ে
অনেক উপকারী জীবাণু থাকে। আমরা চাইলে দুপুরের খাবার শেষে কিছুটা টক দই খেয়ে নিতে
পারি। কারণ টক দই দধ দিয়ে বানানো হয়। তাই টক দই এই রয়েছে দুধের সকল পুষ্টিগুণ।
টক দই খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে থাকা ভেতরের উপকারী অনুজীব গুলোর মত নতুন আরো
অনেকগুলো উপকারী জীবাণু শরীরে যোগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে টক দই আমাদের শরীরের
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
মুরগির মাংসঃ প্রতিদিন দুপুরের খাবারের সাথে অন্তত দুই টুকরো মুরগির মাংস
খাওয়া আমাদের সাথে জন্য খুবই উপকারী। প্রায় আমরা সবাই মুরগির মাংস খেতে পছন্দ
করি। মুরগির মাংস একটি লোভনীয় খাবার। দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিনের
দুপুরের খাবারের সঙ্গে আমাদের দুই টুকরা মুরগির মাংস অবশ্যই খেতে হবে। আমরা
অনেকেই মনে করি গরু-খাসির মাংস বেশি করে খেলে দ্রুত ওজন বাড়বে। তবে এটি ভুল
সিদ্ধান্ত। গরু খাসির মাংস খেয়ে ওজন বাড়ানো এটি ক্ষতিকর, কারণ এগুলো
অস্বাস্থ্যকর গরু-খাসির মাংসে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে এটি স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলো আমাদের পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। তাহলেই সঠিক নিয়মে
আমাদের ওজন বাড়বে।
রাতের খাবার
উপরের উল্লেখিত লেখাতে দুপুরের খাবার জন্য যেসব খাবার উল্লেখ করা হয়েছে, ওজন
বৃদ্ধির জন্য সেগুলো রাতের খাবারের জন্য ও প্রযোজ্য। কারণ আমরা অনেকেই দুপুরের
খাবার বাইরে খেয়ে থাকি। সে ক্ষেত্রে আমরা দুপুরের খাওয়া ঠিক মতন খেতে পারি না।
তাই দুপুরের খাবারে বাদ পড়ে যাওয়া খাবার গুলো আমরা রাতের খাবারের যোগ করে নিয়ে
খেতে পারি।
হালকা নাস্তা বা স্ন্যাকস
বাদাম: দ্রুত ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে খাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হালকা
নাস্তা হিসেবে আমরা বাদাম খেতে পারি। বাদামের মধ্যে যেমন চিনা বাদাম, কাজু বাদাম,
পেস্তা বাদাম, আপনার সুবিধামতো অর্থাৎ পছন্দ মতো যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন।
বাদামে বিদ্যমান ফ্যাট, মিনারেল, ভিটামিন ফাইবার। আমরা চাইলে ওজন বাড়ানোর জন্য
নাস্তায় কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিতে পারি। দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে আমরা দুপুরে ও
রাতের খাবার পর বাদাম খেতে পারি।
কিসমিসঃ কিসমিস চাইলে আমরা ভিজিয়ে ও খেতে পারি অথবা বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে
খেতে পারে। আমাদের যেভাবে ইচ্ছা আমরা সেভাবেই কিছু মিসটেকে খেতে পারি। কারণ অনেক
জন অনেক রকম ভাবে কিসমিস খেতে পছন্দ করে। হালকা নাস্তার মধ্যে কিসম যোগ করলে
দ্রুত ওজন বাড়ানো সম্ভব।
বিভিন্ন ধরনের বীজঃ ওজন বাড়ানোর আরেকটা অসাধারণ উপায় হল বীজ। বিভিন্ন
ধরনের বীজ যেমন সূর্যমুখীর বীজ, তিসির বীজ, তিলের বীজ ইত্যাদি ভাত বা
তরকারি তবে সঙ্গে হালকা মিশিয়ে খেতে পারি। অথবা এমনি চিবিয়েও খেতে পারি। এক
একটা বীজের একেক ধরনের গুণ, পুষ্টি, ভিটামিন রয়েছে। আপনি যদি চান দ্রুত ওজন
বাড়াতে তাহলে আপনি নিয়মিত বীজ খেতে পারেন।
ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়
ওজন বৃদ্ধির জন্য আমরা অনেকেই অসচেতন ভাবে অনেক কিছু খেয়ে ফেলি। শুধু খাবার খেলে
ওজন বাড়ে না। ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। সে সাথে খেয়াল
রাখতে হবে ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাওয়া উচিত না। এমন খাদ্য খাওয়া যাবেনা যা
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার খাওয়া
আমাদের উচিত হবে না তা নিচে লেখায় দেখানো হলো।
সাগুঃ সাগুতে রয়েছে শুধুমাত্র শর্করা। সাগুতে অন্য কোন প্রোটিন বা
ভিটামিন বিদ্যমান নয়। ১০০ গ্রাম সাগুদানাই প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ খুবই সীমিত,
প্রায় ১ গ্রামের চেয়ে কম। সাগু তেমন একটা পুষ্টিকর খাবার নয়। হতে পারে সাগু
দানা নিয়মিত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে। তবে শরীরে কোনরকম পুষ্টি উপাদান
সরবরাহ করে না। সে ক্ষেত্রে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থেকেই যাই। সেক্ষেত্রে আমাদের
এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আমাদের ওজন ও বৃদ্ধি করবে শরীরে পুষ্টি ও সরবরাহ
করবে।
কাস্টার্ড-পুডিংঃ কাস্টার্ড পুডিং তৈরি করতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে চিনির
প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে এতে চিনির পরিমাণ প্রচুর। অতিরিক্ত চিনি, তেল, চর্বি
যুক্ত খাবার আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অতিরিক্ত তেল,
চর্বি, চিনি আমাদের ওজন বাড়াতে ঠিকই সাহায্য করবে। এগুলো খাবার আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও সঠিক নয়। তবে আপনারা যদি শুধু দুধ, ডিম ও ফলমূল দিয়ে
কাস্টার্ড পুডিং বানিয়ে খেতে চান, তাহলে সেটা খেতে পারেন।
ওজন বাড়ানোর খাবার গুলো কি পরিমানে খাবেন?
অতিরিক্ত খাবার যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতে ও বাধা
সৃষ্টি করবে। তাই আমাদের সকল খাবার পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। প্রথমত নিয়মিত আমরা
যে সকল খাবার খাই, তার সঙ্গে উপরের উল্লেখ করা খাবারগুলো যোগ করবেন। আপনারা যদি
মনে করে থাকেন উপরের উল্লেখিত খাবারগুলো খেলেই শুধু ওজন বাড়বে বিষয়টা কিন্তু
তেমন নয়। নিয়মিত খাবার এর সঙ্গে উপরের উল্লেখিত খাবার গুলো যোগ করে খেতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে অনেকগুলো খাবারের কথা বলেছি। এ সকল খাবারের মধ্যে অনেকেরই
পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার আছে। অনেকেরই এ সকল খাবার এর মধ্যে কিছু খাবার ভালো ও না
লাগতে পারে। তাই নিচে কোন খাবার কতটুকু পরিমাণে কত ক্যালরির খাবেন তা উল্লেখ করা
হলো,
সকালের নাস্তায় যতটুকু পরিমাণে খাবার খাবেন
১ কাপ দুধ (২৪৪ গ্রাম) - ১৪৬ ক্যালোরি
১ টা মাঝারি সাইজের কলা (১১৮ গ্রাম)- ১০৫ ক্যালোরি
১ টা ডিম (৫০গ্রাম) - ৭১.৫ ক্যালোরি
১০০ গ্রাম খেজুর - ২৭৭ ক্যালোরি
দুপুরের খাবার যতটুকু পরিমাণে খাবেন
১ কাপ রান্না করা ডাল (১৯৮গ্রাম) - ২৩০ ক্যালোরি
১ কাপ টক দই (২৪৫গ্রাম) - ১৪৯ ক্যালোরি
১০০ গ্রাম যেকোনো মুরগির মাংস - ১৭৯ ক্যালরি
বাদাম ও কিসমিস
কাজুবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৭৫ ক্যালোরি
কাঠবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৬৪ ক্যালোরি
পেস্তাবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৫৯ ক্যালোরি
চিনাবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৬১ ক্যালোরি
কিসমিস (২৮.৩৫ গ্রাম) - ৮৪.৮ ক্যালোরি
বীজ
মিষ্টি কুমড়ার বিচি (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৬৩ ক্যালোরি
সূর্যমুখীর বিচি (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৭৫ ক্যালোরি
তিলের বীজ (২৮.৩৫ গ্রাম) - ১৬১ ক্যালোরি
আপনারা আপনাদের নিজের পছন্দের যে কোন খাবারই খেতে পারবেন, শুধু খেয়াল রাখতে হবে
দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালরির অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। আপনারা হয়তো মনে করবেন এর
থেকে বেশি ক্যালোরির খাবার খেলে দূরত্ব ওজন বাড়বে। দ্রুত ওজন বাড়বে ঠিকই, তবে
ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানোই শরীরের জন্য উত্তম। এটি করে শরীর স্বাস্থ্য দুইটাই ভালো
থাকবে।
ওজন বৃদ্ধির ব্যাম
দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই আপনা কে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আপনারা
অনেকেই শুনেছেন ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে হয়। শুনে হয়তো আশ্চর্য হবেআপনিও
তো আশ্চর্য হবেন ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করা প্রয়োজন। স্ট্রেংথ ট্রেনিং
ব্যায়াম ওজন বাড়াতে সহায়ক। এই ব্যায়াম করার জন্য জিমে বা জিন ট্রেনারের কাছে
যাওয়ার এমন একটা প্রয়োজন নেই। আপনারা চাইলে এটি ঘর বসে কোন যন্ত্র বা ব্যায়ামের
উপকরণ এর সাহায্য ছাড়া এ ধরনের ব্যাম করতে পারেন।
অথবা ইউটিউবে বা গুগলের সার্চ দিয়ে এই ব্যায়ামগুলো দেখে করতে পারেন। আবার
আমরা অনেকেই মনে করি ব্যায়াম করলে শরীর থেকে শক্তি ও ক্যালোরি খরচ হয়ে যাই, তাই
হয়তো ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়ামের কোন প্রয়োজন নেই। তবে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ
ভাবে ভুল। শুধু ওজন কমানোর জন্য নেই ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের
প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের শরীরে ক্যালোরির প্রয়োজন হয়, সে
ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়ার ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে। সেজন্য আমাদের
নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন, তাহলে শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে আসবে এবং
শরীর ফিট থাকবে।
ওজন বাড়াতে যা করবেন
আমরা সবাই চাই শরীর ফিট ও সুস্থ রাখতে। শরীর সুস্থ ও ফিট রাখতে অবশ্যই আমাদেরকে
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু অনেকেই তা করে উঠতে পারেন না। কেউ
প্রয়োজনে তুলনায় বেশি ফ্যাট যুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। ফলে নিয়মের চেয়ে
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আবার অনেকে ঠিক মত খাওয়া-দাওয়া না করে স্বাভাবিক এর
চেয়ে ওজন কমিয়ে দেয়। ওজন বাড়াতে চাইলে সারাদিনে যত ক্যালরি ঝরাচ্ছেন তার চেয়ে
৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, খেজুর,কিসমিস,আলুবখরা,
পনির, ক্রিম, মুরগির মাংস, চকলেট,কলা, পিনাট বাটার ইত্যাদি রাখতে হবে।যাদের
ওজন কম তাদের অবশ্যই নিয়মিত মোট ক্যালরির শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করা
আবশ্যক। আমরা ভাবি একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে আমরা মোটা হব। কিন্তু এটি ভুল ধারণা।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি কমে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে
একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে বেশি বার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে
আমাদের হজম শক্তিও ভালো থাকবে এবং স্বাভাবিক ওজন বাড়তে থাকবে।
ওজন বাড়াতে পিনাট বাটার এর উপকারীতা
দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তাহলে নিয়মিত পিনাট বাটার খান। স্বাভাবিকভাবে ওজন
বাড়াতে পিনাট বাটার একটি দুর্দান্ত খাদ্য। পিনাট বাটার চিনা বাদাম,
মাখন,প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, খনিজ এবং ভিটামিন এর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। পিনাট
বাটারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যা ওজন বাড়াতে সহায়তা সাহায্য করে।
পিনাট বাটার আমরা চাইলে নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেতে পারি। পিনাট বাটার সকালে
খালি পেটে খেলে ওজন আরো দূরত্ব বাড়তে পারে।
এছাড়াও পিনাট বাটার শরীর জন্য অনেক উপকারী। শরীর এর মাংসপেশি শক্তিশালী
করে। পিনাট বাটারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন থাকাই শরীরকে দীর্ঘক্ষণ
শক্তিশালী রাখে। পিনাট বাটারের ফাইবার থাকার ফলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখে এবং
ক্ষুধা কমায়। পিনাট বাটার আমরা চাইলে কাজের ফাঁকে স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারি।
এতে আমাদের হালকা নাস্ত খাওয়া হবে এবং ওজন বাড়াতেও সাহায্য করবে। সতর্কতা
সাপেক্ষে, যাদের চিনা বাদামে এলার্জি, তাদের পিনাট বাটার খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই
সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ওজন বাড়ানোর সহজ ও কার্যকারী উপায়
আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেক খাবার খেতে পারিনা। সেক্ষেত্রে আমাদের ৩ বেলার পরিবর্তে
৫-৬ বেলা অল্প অল্প করে খাওয়া উচিত। অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের
শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালোরি পৌঁছাবে এবং হজমেও সহায়তা করবে। ওজন বাড়ানোর জন্য আমরা
পুষ্টিগুণে ভরপুর কিছু খাবার খেতে পারি। যেমন: ঘি, মাখন, বাদাম, কলা, আম, ছোলা,
আলু, মিষ্টি আলু, ডিম, মাছ, মুরগি, পনির, দুধ, ঘোল, ছানা, বাদাম, কাজু, কাঠবাদাম,
কিসমিস, ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ওটস ইত্যাদি খেতে পারি।
ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে প্রোটিনের প্রয়োজন অনেক। আমরা নিয়ম মেনে প্রোটিন
জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারি। আমাদের প্রতিদিন অন্তত ১.২-১.৫ গ্রাম প্রোটিন প্রতি
কেজি অনুযায়ী খাওয়া উচিত। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে পানির ভূমিকা অপরিসীম।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি হজমের কাছে সহায়তা করে। আমরা খাওয়ার আগে এবং খাবার মধ্যে
কখনোই অতিরিক্ত পানি খাব না। এতে আমার যে আমাদের হজমে বিঘ্ন ঘটে। আমরা সবসময়
চেষ্টা করব খাবার ৩০ মিনিট পর পানি খাওয়ার। ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যাম অবশ্যই
প্রয়োজন। তবে ভারী কোন বস্তু নয়, হালকা ওজন তোলা, যোগব্যায়াম ও বডি ওয়েট
এক্সারসাইজ করতে পারেন। ব্যায়াম করার ফলে আমাদের হজম ভালো ভালোভাবে হয় এবং খিদে
বাড়ে।
স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন আপনাকে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮
ঘন্টা ঘুমানো অত্যন্ত দরকার। পরিমাণ মতো ঘুম না হওয়ার ফলে শুধু ওজনই কমে না
শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওজন ও শরীর সুস্থ রাখতে পরিমাণ মতো ঘুম
সকলের প্রয়োজন। ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের খাওয়ার রুটিন সব সময় ঠিক রাখতে হবে।
নিয়মিত সময়ে খাওয়া জন্য শরীরে ক্যালরি জমতে পারে। ওজন বাড়াতে চাইলে আমাদের
অবশ্যই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। তবেই ওজন বাড়ানো সম্ভব।
ওজন বাড়ানোর পূর্বে সতর্কতা
ওজন বাড়ানোর পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে যে আমাদের ওজন বাড়ানোর দরকার আছে
কি না। ওজন বাড়ানোর ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি হবে কিনা। যাদের ওজন
স্বাভাবিকের চেয়ে কম শুধু তাদের ওজন বাড়িয়ে স্বাভাবিক আনার প্রয়োজন। যেমন,
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, শরীর দুর্বল, অপুষ্টিতে ভোগে, সারাক্ষণ ক্লান্ত
লাগে, মেয়েদের নিয়মিত মাসিক হয়না ইত্যাদি। আবার অনেকের কিছু রোগের কারণে ওজন
কমতে থাকে। যেমন, থাইরয়েডের সমস্যা ও ডায়াবেটিস। আবার মানসিক ও শারীরিক
দুশ্চিন্তার কারণে ওজন কমতে থাকে।
এক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা অনেকের ইয় খাবার প্রতি
অনিহা, রুচি নেই, আগে যে পরিমাণ খাবার খেতে পারতেন সে তুলনায় এখন অনেক কম কাবার
খেতে পারেন, যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্র দ্রুত একজন চিকিৎসকে পরামর্শ নেয়ার দরকার।
ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কখনোই নিজে নিজে কোন ওষুধ খাওয়া যাবেনা। সেক্ষেত্রে একজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন। অনেক সময় গেছে সমস্যার
কারণেও খাবারের অরুচি দেখাই। প্রতিদিন নিয়মিত পানি পান করলে গ্যাসের পরিমাণ
কিছুটা কম হতে পারে।
যেসকল খাবারগুলো আপনার গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় সেই সকল খাবার গুলো
এড়িয়ে চলায় উত্তম। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনার মনে হয় কোন কারন ছাড়াই
আপনার ওজন কমে যাচ্ছে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
গ্রহণ করুন। এটি হতে পারে ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের একটি লক্ষণ। তাই আমি মনে করি
ওজন কমা একটি স্বাভাবিক বিষয় নয় এ বিষয়ে আমাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে
হবে।
শেষ কথাঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
দ্রুত ওজন বাড়ানো কোন ম্যাজিক কাজ নয়। ধৈর্য, নিয়মিতখাওয়া, ঘুম, ব্যাম সবকিছু
মেনে চললেই দ্রুত ওজন বাড়ানোর সম্ভব। প্রত্যেকেরই প্রথমে হয়তো এই নিয়মগুলো
মেনে চলতে একটু কষ্ট হবে কিন্তু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা যদি একটু
কষ্ট করে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে খুব দ্রুতই ওজন বাড়াতে সক্ষম হবে।
আপনারা অনেকেই মনে করেন ওষুধ খাওয়ার ফলে মোটা হওয়া যায়। কিন্তু ঔষধ খাওয়া
মোটেও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। ঔষধ খাওয়ার পরে আমাদের শরীরকে মোটা করে
ঠিক ইয় কিন্তু এইটা আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে শরীর অনেক রোগ বাধা বাসে।
প্রাকৃতিক ও নিরাপদ নিয়মে আমাদের ওজন বাড়ানো উচিত। এমনভাবে আমাদের ওজন
বাড়ানো উচিত যাতে আমাদের শরীরের কোন ক্ষতিও না হয় এবং স্বাভাবিক মাত্রায় ওজন
বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্য
খেতে হবে। উপরোক্ত ডায়েট চার্ট এর উল্লেখিত খাবার গুলো নিয়মিত খেলে আপনার
সামগ্র স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রেখে স্বাভাবিক ওজন বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনের
সহায়তা করবে।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দ্রুত ওজন বাড়ানোর সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই আপনার দূরত্ব ওজন বাড়াতে সক্ষম হবে। এরকম আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল
পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সঙ্গে থাকুন সুস্থ থাকুন
ভালো থাকুন।
মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url