ড্রাগন ফল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে

 ড্রাগন ফল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি অজানা থেকে থাকেন তাহলে আজকের এই তথ্য নির্ভর আর্টিকেলটি আপার জন্য। ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আমরা আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ড্রাগন ফলে উপকারিতা, অপকারিতা, স্বাস্থ্য উপকারিতা, পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা টিপস

ড্রাগন ফল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

ড্রাগন ফল বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় খাবার। ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ অনেক, যার কারণে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হজম শক্তি উন্নত করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কম করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
  • হাড় ও দাঁত মজবুত করে
  • শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে
  • মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি এর সমাহার, এছাড়া অন্যান্য এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ভাইরাস আক্রম থেকে শরীরকে প্রতিরোধ করে। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের শক্তি যোগায় এবং সাধারণ অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে।

হজম শক্তি উন্নত করে: ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ফাইবার পেটের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল খেলে আমাদের মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বিশেষজ্ঞদের গবেষণার মতে ড্রাগন ফল ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ড্রাগন ফল ফাইবার তার করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে পারে এবং শর্করার উত্তর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে, যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

হৃদরোগের ঝুঁকি কম করে: ড্রাগন ফল বহু পুষ্টিগুনেমসমৃদ্ধ। ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায়তা করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: ড্রাগন ফলে এন্টি অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি হওয়ায় এটি স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের কোষগুলোর ক্ষতি কমাতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের রং উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক সতেজ ও মসৃণ করে। ড্রাগন ফল নিয়মিত খারাপ হলে আমার একটা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কমে যেতে পারে।

হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে এবং দাঁতের গঠন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে: ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমাদের শরীরের শক্তির স্তর বাড়ে ও ক্লান্তি দূর হয়। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। শারীরিক দুর্বলতা ভালো করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া অনেক উপকারী।

মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে: মানসিক চাপ কমাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে। আর এর প্রত্যেকটি উপাদানই রয়েছে ড্রাগন ফলের মধ্যে। মানসিক চাপ, মানসিক ক্লান্তি, চিন্তা দূর করতে হলে আমাদের নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে হবে। ড্রাগন ফল আমাদের শক্তিশালী করবে বৃদ্ধি করে এবং ভালো ঘুম এবং অবসাদ দূর করতে সহযোগিতা করবে।

কেন খাবেন ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফল একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ মুক্ত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই আমাদের অবশ্যই নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফলে এটি আমাদের রক্তের চর্বি পরিমাণ কমায়। ড্রাগন ফল আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ড্রাগন ফল ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। ড্রাগন ফল চুল ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর সুস্থ রাখতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে আমাদের ড্রাগন ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ড্রাগন ফল কিভাবে খাবেন ও সতর্কতা

ড্রাগন হলো একটি ফল। ফল সাধারণত কাঁচাই খাওয়া যায়। ড্রাগন ফল আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন আপনি চাইলে কাঁচাও খেতে পারেন সালাদ করেও খেতে পারেন অথবা জুস বানিয়ে খেতে পারেন। ড্রাগন ফল সব সময় উজ্জ্বল রঙের এবং কিছুটা নরম কেনার চেষ্টা করবেন। ড্রাগন ফল প্রথমে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে উপরের খোসাটি ছিলে ফেলে ছোট ছোট টুকরা করে খেতে পারে। ড্রাগন ফল আপনি চাইলে খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। ড্রাগন ফল ব্লেন্ড করে জুস করেও খেতে পারেন। এটিও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে। তবে স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে বলে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন সে কি মোটেও উচিত হবে না পরিমাণ মতো খেলে সর্বোচ্চ উপকার আপনি পাবেন।

সতর্কতা: ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অনেকের পেটে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। কারণ ড্রাগন ফল এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ না করে কখনোই ড্রাগন ফল খাওয়া তাদের জন্য সঠিক হবেনা।

ড্রাগনের পুষ্টিগুণ মিলিয়ে এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য একটি পুষ্টিকর ফল। ড্রাগন ফল শুধু আমাদের স্বাস্থ্য নয় ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং আমাদের হজম শক্তিকে উন্নত করে শারীরিক শক্তি জোগায়।
 

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল বহু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ড্রাগন ফলে পুষ্টি উপাদানের উপকারিতা অপরিসীম। আমরা অনেকেই জানিনা ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের হজম শক্তি উন্নত করে। হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ সহজে হয়না।
গর্ভাবস্থায়-ড্রাগন-ড্রাগন-ফল-খাওয়ার-উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় আমাদের বেশি বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। অনেক সময় পুষ্টিকর খাবারের খেতে গিয়ে আমাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হতে পারে এবং ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য হার্ট সব সময় নরমাল রাখা প্রয়োজন। এতে করে গর্ভে থাকে সেই সব ভালো থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আমরা অনেকে অনেক ধরনের দুশ্চিন্তা করে থাকি। সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক সময় হার্ট দুর্বল হয়ে যায়। তাই গর্ভবতী মায়েদের হার্ট সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে।

ড্রাগন ফল শুধু গর্ভবতী মায়েদের জন্য নয় গর্ভে থাকা শিশুর জন্যেও অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম গর্ভের শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং খনিজ পদার্থ আছে যা গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়। তাই গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেক গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো রক্তস্বল্পতা। গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় শরীরের রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। এই রক্তস্বল্পতা থাকার কারণের ডেলিভারির সময় গর্ভবতী মা এবং শিশু জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে গর্ভাবস্থা থেকেই রক্তস্বল্পতা দূর করতে। ড্রাগন ফলে রয়েছি ভিটামিন এ, ভিটামিন এ শরীরের রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতার যদি কমে। তাই গর্ভাবস্থায় নিজের সুস্থতা এবং গর্ভের শিশুর সুস্থতার জন্য নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।
 

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলে পুষ্টিগুণ অনেক। ড্রাগন ফলে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন: ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ড্রাগন ফলের এই সকল পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের শক্তি জোয়াগ এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে:
head 1 head 2
ভিটামিন সি ২৭%
ভিটামিন সি ৬ ১২%
আয়রন ০.৬৫ মিলিগ্রাম
ক্যালোরি ৬০ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১০%
পটাশিয়াম ৮ %
ফাইবার ২ গ্রাম
কার্বহাইড্রেট ১৪ গ্রাম
প্রোটিন ২ গ্রাম
চর্বি ১/২ গ্রাম
চিনি ১২ গ্রাম ১২ গ্রা

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সমৃদ্ধ একটি ফল। ড্রাগন ফল দেশীয় ফল এটি একটি বিদেশি ফল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের ড্রাগন ফলে চাষ অধিক পরিমাণে হচ্ছে। এ কারণে ড্রাগন ফলে চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণের কারণে এর চাহিদা আরো বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তবে বলি ড্রাগন ফল খাওয়ার কোন। ড্রাগন একটি ফল আমরা সাধারণত ফল যেভাবে খাই ড্রাগন ফল টা আমরা সেভাবে খেতে পারি। প্রথমত বাজার থেকে লাল রংঙ এর নরম ড্রাগন ফলগুলো বাছাই করে কিনে আনতে হবে। এরপর ড্রাগন ফল গুলো কি সুন্দর ভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে কুচকুচি করে কেটে খেতে পারেন অথবা চাইলে জুস বানিয়ে খেতে পারি। আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে ড্রাগন ফল আমরা সালাত করেও খেতে পারি।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা জানে গেছি ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ এত বেশি যে উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলের অপকারিতা খুবই কম। তবে যেকোনো খাবার পরিমান মত না খেলে সেটি আমাদের শরীরের জন্য বিপরীত প্রভাব ফেলবে। স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে। কিছু কিছু মানুষের জন্য ড্রাগন ফলের বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতার মধ্যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া হল একটি। তবে এটি সবার জন্য। যাদের পূর্বে থেকে এলার্জির সমস্যা আছে তারা ড্রাগন ফল খেলে তাদের শরীরে এলার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ড্রাগন ফল খাওয়ার পর অনেক সময় পেটে ব্যথা বা অতি বমি হতে পারে। যাদের পাচনতন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের এ সকল সমস্যা হতে পারে। সেহেতু যাদের ড্রাগন ফল খেলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। এতে করে তাদের শরীরের কোন ক্ষতি হবে না স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
 

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকরিতা

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয় বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। ড্রাগন ফল সকল বয়সের। তবে সেক্ষেত্রে পরিমাণটা কম বেশি হতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল বাচ্চাদের জন্য কতটা উপকারী:
 
  1. ড্রাগন ফলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের শক্তি যোগায়। এতে করে বাচ্চারা কম অসুস্থ হয়।
  2. ড্রাগন ফল বাচ্চাদের হার্টকে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং নরমাল পজিশনে রাখতে সহায়তা করে।
  3. ড্রাগন ফল বাচ্চাদের হাড় গঠনে এবং মজবুতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক।
  4. বাচ্চাদের সুস্থ চোখ এবং সুন্দর ত্বকের জন্য ভিটামিন এ এর প্রয়োজন অপরিসীম। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ এর উপাদান। তাই বাচ্চাদের নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ান।
  5. বাচ্চাদের শরীরের ভিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে ড্রাগন ফল।

শেষ কথাঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য

ড্রাগন ফলের উপকারিতা এত বেশি যে এর তুলনা করে বোঝানো যাবে না। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন রাবণ ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, পুষ্টিগুণ, গর্ভবতী এবং বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফল এর উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান গুলো হলো ভিটামিন এ,ভিটামিন বি ৬, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো থাকার কারণে ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

তবে ড্রাগন ফল এর পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমানে হওয়া কারণে ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না যতই সেটি উপকারী হোক। প্রত্যেকটি খাবার নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। নির্দিষ্ট পরিমাণের না খেলে এটি আমাদের শরীরের এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি খাবার আগে সেটি পরিমাণ মতো এবং নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।

আশা করছি, আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছে। যদি আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। জেনেছেন কিভাবে ড্রাগন ফল খেতে হয় ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম। তাহলে ড্রাগন ফলের এই উপকারিতা গুলো পেতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে হবে। 

আশা করা যায় আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক তথ্য পেয়েছেন। এরকম আরো তথ্যবহুল এবং স্বাস্থয় সম্পর্কিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাথেই থাকুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url