ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজে ফেসপ্যাক তৈরির উপায়

 ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এবং ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায় ফেসপ্যাক। মুখ আমাদের শরীরের দৈহিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে। তাইতো আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নানান উপায় খুঁজে বেড়াই।

ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফেসপ্যাক-ব্যবহারের-উপকারিতা

বাজারে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক পাওয়া যায়, কিন্তু কোনটি আমাদের ত্বকের জন্য ভালো জানিনা।  সে ক্ষেত্রে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারি। তাতে  আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না।

যদি আপনি ঘরে বসে ফেস প্যাক তৈরি করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলের  কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন ব্যবহার করবেন এবং কোন ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে। 

সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরির ১০ টি সেরা টিপস

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের জন্য নিরাপদ ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করার ফলে এটি আমাদের ত্বকের কোনরকম ক্ষতি করেনা। বাজারে অনেক রকমের ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। তবে বাজারে পাওয়া ফেসপ্যাক গুলোতে অনেক রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ নিয়মে দূরত্ব ওজন বৃদ্ধির উপায়

সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরির ফেসপ্যাক গুলো ত্বকের জন্য আমাদের ত্বকের জন্য নিরাপদ। কারণ ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক এ রয়েছে প্রকৃতির উপাদান যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে। তাহলে চলুন জেনে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরির উপকারিতা সম্পর্কে-

রাসায়নিক মুক্ত হয়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক গুলো আমাদের ত্বকের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ হয়। কারণ ঘরের তৈরি ফেসপ্যাক গুলো প্রকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় তাই এই ফেসপ্যাক গুলো রাসায়নিক উপাদানমুক্ত হয়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরির উপাদান গুলো আপনার রান্নাঘরে অথবা বাজারে সহজেই পাওয়া যাবে।

তীব্র পরিষ্কারের প্রভাব
ঘরে থাকা উপাদানগুলো দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বক পরিষ্কার করে। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই ফেসপ্যাক গুলো ত্বকের দাগ পরিষ্কার করে, মৃত কোষগুলোকে পরিষ্কার করে, নতুন কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে।

ত্বকের যত্নের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক অন্যতম। যা আপনাদের ত্বকের কোন ক্ষতি করে না বরং ত্বকে পুষ্টি শোষণ করে। আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।

ফেসপ্যাক কি এবং কেন ত্বকে ব্যবহার করবেন

ফেসপ্যাক মূলত প্রকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি একটি মুখোশ যা পুষ্টি উপাদান গুলোকে একত্রিত করে এবং সরাসরি ত্বকে  ব্যবহার করা হয় যার ফলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণ করে। একটি ভালো ফেসপ্যাক সব সময় ঘন পেস্ট হয় যা আপনি আপনার ত্বকে পরিমাণ মতো প্রয়োগ করলে ত্বকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে।

ফেসপ্যাক-ব্যবহারের-সঠিক-নিয়ম
সঠিকভাবে তৈরি করা একটি ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে, মসৃণ করবে, কালো দাগ দূর করবে  এবং ব্রণের সমস্যার সমাধান করবে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক প্রয়োগের মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে তার ফলাফল পাওয়া যায়।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসপ্যাক এর সঠিক ব্যবহার

আমাদের সকলের ত্বক  একই ধরনের না। কারো ত্বক হয় তৈলাক্ত, কারো শুষ্ক, কারো আবার সংমিশ্রণ। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ত্বকের ধন জেনে নিতে হবে। কারণ ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসপ্যাক ব্যবহার না করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই ত্বকের ধরন অনুযায়ী কেমন ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক

শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক বানানোর সময় অবশ্যই হাইড্রেটিং এবং ময়েশ্চারাইজিং সমৃদ্ধ অ্যালোভেরার উপাদান গুলো ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা এবং শসার তৈরি ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে এবং নিস্তেজ ও শুষ্ক ত্বকের পুনরুজ্জীবিত করবে।

আরো পড়ুনঃ শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার সেরা কিছু নিয়ম

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই এমন ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে যা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করবে। মাড মাক্স গুলি ত্বকের ময়লা এবং অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ ও নরম করে।

সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক

প্রকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। প্রকৃতির উপাদানের মধ্যে যেমন পেঁপে। পেঁপে দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক সংমিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, তৈলাক্ত দূর করে এবং শুষ্ক ত্বক মসৃণ করে। পেঁপে দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকে পুষ্টি যোগায়, হাইড্রেট করে এবং ত্বকে গভীর থেকে বিশুদ্ধ করে তোকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

অ্যালোভেরার ফেসপ্যাকের ব্যবহার

অ্যালোভেরাতে রয়েছে নানান খনিজ ও ভিটামিনের উপাদান। অ্যালোভেরাতে রয়েছে উৎসেচক। যা আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আলোর ফেসপ্যাক আপনার ত্বকে টানটান করে। তাই অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক ব্যবহার করে নিজের ত্বকে চিরসবুজ রাখুন।

ফেসপ্যাক প্রস্তুত ও ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে একটি পরিষ্কার পরিষ্কার, ধৌত করা  অ্যালোভেরা নিন।
  • তারপর একটি পাত্রে অ্যালোভেরার পাতা থেকে রস বের করুন।
  • এরপর অ্যালোভেরা রস সরাসরি মুখে ব্যবহার করুন। এরপর আধা ঘন্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁপের ফেসপ্যাক এর ব্যবহার

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরিতে পেঁপে একটি বড় পুষ্টি উপাদান। প্রকৃতির উৎসেচক হচ্ছে পেঁপে। পেঁপে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। পেঁপের ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বক রিলাক্স দেখায়। সেই সাথে ত্বক হয় টানটান এবং সতেজ। ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ করতে চান তাহলে অবশ্যই স্কিনকেয়ার রুটিনে রাখতে হবে আপনাকে পেঁপের ফেসপ্যাক। 

ফেসপ্যাক প্রস্তুত এবং ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে একটি পাকা পেপে নিন। পেপেটিকে ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছিলিয়ে ছোট ছোট টুকরো করুন। 
  • পেঁপের টুকরোকে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এতে যোগ করুন ১ চা চামচ মধু তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে পেঁপের ফেসপ্যাক। 
  • এরপর ফেসপ্যাকটিকে ভালো করে মুখে এবং গলায় মালিশ করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 
  • পেঁপে এই ফেসপ্যাকটি আপনারা সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

কলার ফেসপ্যাকের ব্যবহার

আমরা এতদিন জেনে এসেছি কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। আজকে জানবো কলা ফেসপ্যাক তৈরি। কলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের ত্বকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। শুনে আশ্চর্য হবেন শুধু কলা নই কলার খোসাতে রয়েছে একই পুষ্টি  উপাদান। তাই আমরা কলার সঙ্গে কলার খোসা ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিতে পারি।

আরো পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

ফেসপ্যাক প্রস্তুত এবং ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে একটি পাকা কলা নিন। তারপর কলাটাকে ভালোভাবে পেস্ট করে নিবেন।
  • এরপর পেস্ট করা কলার সঙ্গে এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে নিবেন। 
  • এবার পেস্ট করা কলার ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে তোকে মালিশ করুন। ২০ মিনিট পর হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 
  • একটি পাত্রে কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন এরপর এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করুন।
  • এইভাবে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। ত্বক যখন শুকিয়ে আসবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো ভাবে ধুয়ে ফেল। নিয়মিত এভাবে কলা এবং কলার খোসা দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য চর্চা  করতে পারেন।

বেসনের ফেসপ্যাক এর ব্যবহার

একফোঁটা বেসন আপনার ত্বকে করবে ঝলমল এবং উজ্জল। আমাদের প্রত্যেকেরই রান্নাঘরে বেসন থাকে। তাহলে আর দেরি না করে ঘরে থাকা এই বেসন দিয়ে নিজের ত্বকের যত্ন নিন। বেসন ত্বকের মৃত কোষগুলোকে দূর করে এবং টক টানটান করে।

ফেসপ্যাক প্রস্তুত এবং ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে একটি পাত্রে ২ চামচ পরিমাণে বেসন নিবেন। বেসনের সঙ্গে গোলাপজল এবং দই মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন।
  • এরপর পেস্ট করা বেসন মুখে ভালোভাবে মেখে নিন। আধাঘন্টা অপেক্ষা করুন এবং কিছুক্ষণ পরপর হালকা পানি দিয়ে মাসাজ করুন। 
  • এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 

টমেটো ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক এর ব্যবহার

টমেটো গোলাপজলের ফেসবুক ব্যাগ আমরা সাধারণত গরমের সময় বেশি ব্যবহার করতে পারি। কারণ গরমের সময় ত্বক তেল তেলে হয় এবং ত্বকে বিভিন্ন দাগ দেখা দেয়। টমেটো ত্বকের পিকমেন্টেশন কমায় এবং ত্বককে পরিষ্কার রাখে। গোলাপজাল ব্যবহারের কারণে ত্বক শীতল ও সতেজ হয়, যার কারণে গরমে টমেটো ও গোলাপ জল এর ফেসপ্যাক অতি প্রয়োজনীয়।

ফেসপ্যাক প্রস্তুতি এবং ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে একটি টমেটো নিন। এরপর টমেটোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পিউরি তৈরি করুন। 
  • ব্লেন্ড করার টমেটোর মধ্যে গোলাপজল এবং মধু মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে ফেসপ্যাকটি তৈরি করুন।
  • ফেস প্যাকটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 

নারিকেলের তেল ও বাদামের ফেসপ্যাক এর ব্যবহার

নারিকেলের তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নারিকেলের তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বককে প্রাকৃতিক আদ্রতা দেয়। নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ঠিক তেমনি বাদাম ত্বককে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখে। 

ফেসপ্যাক প্রস্তুতি এবং ব্যবহারের নিয়ম:

  • প্রথমে পাঁচ ছয়টি বাদাম নিন। বাদাম গুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে একটি পাত্রে রাখুন। 
  • এরপর তাতে নারিকেলের তেল মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে প্যাকটি তৈরি করুন। 
  • এরপর ফেসপ্যাকটি ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করুন। ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

শরীরের একটি অংশ বিশেষ হলো আমাদের মুখ। যা শরীরে সৌন্দর্য প্রতিফলিত করে। তাহলে অবশ্যই মুখে কিছু ব্যবহার করার পূর্বে আমাদের তার সঠিক নিয়ম জেনে ব্যবহার করতে হবে। যেকোনো ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আমাদেরকে মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে করে মুখে থাকা ময়লাটা দূর হয়ে যায় এবং ফেসপ্যাকটি ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায়। ফেসপ্যাকটি অবশ্যই আমাদের ত্বকে ১৫-২০মিনিট রাখতে হবে। 

ফেসপ্যাক ব্যবহারের কিছু সঠিক নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

  • অবশ্যই ফেসপ্যাক লাগানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • ফেসপ্যাক কখনোই চোখে ও ঠোঁটের চারপাশে লাগাবেন না।
  • ফেসপ্যাক কখনোই ১৫-২০ মিনিট এর বেশি রাখবেন না।
  • ত্বক শুকিয়ে আসলে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ি ফেলুন।
  • ফেসপ্যাক তোলার পর অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
  • আমরা অনেকেই গোসলের আগে ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল গোসলের পর সব সময় ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত।
  • আমরা সব সময় চেষ্টা করবো হাত দিয়ে ফেসপ্যাক লাগানোর। কারণ হাত দিয়ে ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করা যায়। তাই ফেসপ্যাক লাগানোর আগে অবশ্যই হাত ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
  • ফেসপ্যাক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হলো রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ব্যবহার করা। রাতে ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে সারা রাত ত্বক বিশ্রাম থাকে এবং ফেসপ্যাক ত্বকে বেশি উপকারী হয়।
  • আপনারা সপ্তাহের সর্বোচ্চ ২-৩ দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতপ আপনার ত্বক ভালো থাকবে।

লেখক এর শেষ কথাঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে

ঘরোয়া পদ্ধতি তৈরি করা ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। ঘরে তৈরি করার ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি করে না বরং আমাদের ত্বকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে। কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরিতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। বাজারে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক পাওয়া গেলেও ঘরোয়া পদ্ধতি তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে। প্রাকৃতিক উপাদান এবং ন্যাচারাল ভাবে তৈরি করা হয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক।

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এতক্ষণে জেনে গেছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক কতটা উপকারী ও কার্যকারী। 

আমাদের আর্টিকেলে দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী আপনারা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে অবশ্যই এর ফলাফল পাবেন। তাই এরকম আরো প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আমাদের সঙ্গেই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url