কলার খোসার জানা অজানা নানা উপকারিতা

কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু কলার খোসা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা কেউ সঠিক তথ্য জানিনা। সেইক্ষেত্রে আমরা কলার খোসাকে আগাছা মনে করে ফেলে দেয়। কলার খোসার উপকারিতা গুলো পেতে হলে আগে আমাদের কলার খোসা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

কলার-খোসার-উপকারিতা
কলাতে রয়েছে যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ঠিক তেমনি কলার খোসাতে রয়েছে পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্য উপকারিতা, রূপচর্চার উপকারিতা। আমরা যারা কলা খেতে অনেক পছন্দ করি সেক্ষেত্রে আমাদের কলার খোসার উপকারিতা, অপকারিতা ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ কলার খোসা ব্যবহার করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

কলার খোসার উপকারিতা

কলা খেতে পছন্দ করি অথচ কলার খোসা সম্পর্কে জানিনা। সাধারণত আমরা কলা খেয়ে কলার খোসাটা ফেলে দেয়। এর কারণ কলার খোসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অসচেতন। কলার খোসার কিছু অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, যেটা সম্পর্কে আমরা জানলে অবাক হয়ে যেতে পারি। তাই, কলা খাওয়ার পর কলার খোসাকে আগাছা মনে করে ফেলে দেওয়ার আগে এ কথাগুলো মনে রাখবেন-

  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে পারে 
  • ব্রণ কমাতে সাহায্য করে
  • বিভিন্ন ব্যথা উপশম করে

ওজন কমাতে সাহায্য করে: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ফাইবার প্রয়োজন হয়। কলার খোসায় রয়েছে ডায়েটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। যা আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করে। কলার খোসা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত উপায়। কলা এবং কলার খোসা দুটি হজম সমস্যার দূর করে। 

রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে পারে: কলার খোসাতে বিদ্যমান ভিটামিন বি৬ ও সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কলার খোসাতে বিদ্যমান খনিজ এবং পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্রণ কমাতে: ব্রণ আমাদের ত্বক নষ্ট করে দেয়। আমরা যারা ব্রণের প্রতিকার খুঁজছি। তারা সরাসরি ত্বকে কলার খোসার ভেতরের অংশটি ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্রণ কমাতে পারি। নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করলে আপনি ব্রণের সমস্যার উপকারিতা পাবেন।

বিভিন্ন ব্যথা উপশম: আমাদের শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যথায় কলার খোসা ব্যবহারে উপশম হয়। ব্যথা আক্রান্ত স্থানে কলার খোসার সিদ্ধ করে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

কলার খোসার অপকারিতা

কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি এখন জানবো কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। কলা আমাদের সকলের প্রিয় এবং সব সময় পাওয়া যায় এমন একটি খাবার। সেহেতু আমাদের কলা সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জেনে নিতে হবে। কারণ সকল খাবারের ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে।কলার উপকারিতা থাকলে তার অপকারিতাও রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদেরকে অবশ্যই কলার অপকারিতা গুলো জেনে নিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার সহজ উপায় 

আমরা কলা খেতে পছন্দ করলেই কিন্তু কলার খোসা সেরকম ভাবে ব্যবহার করে থাকিনা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কলার খোসার তেমন কেনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কলার খোসা আমরা নিসন্দেহে ব্যবহার করতে পারি। কারণ কলার খোসাতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। 

তাই বলে যে কলার খোসাতে কোন অপকারিতা নেই বলে কলার খোসাকে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে ব্যবহার করব এটি করা মোটেও ঠিক হবে না। কারণ কোন খাবার ইয় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় যতই সেটি উপকারী হোক। তাই আমাদের প্রত্যেকটি খাবার ইয় নিয়মিত এবং পরিমাণ পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। নিয়মিত খেলে আপনি এর উপকারিতা পাবেন এবং এর কোন বিপরীত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না।

ত্বকের যত্ন কলার খোসার টিপস

ত্বকের যত্নের জন্য কলার খোসা একটি দূর্দান্ত টিপস। কলার খোসা দিয়ে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারি। কলা সহজলভ্য একটি দ্রব্য হওয়ায় বছরের সব সময় পাওয়া যায়। তাই কলা খাওয়ার পাশাপাশি আমার কলার খোসা দিয়ে নিত্য সৌন্দর্যচর্চা করতে পারি। কলার খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বলতা করে। কলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু টিপস নিচে দেওয়া বর্ণনা করা হলো:

  1. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে 
  2. ব্রনের দাগ দূর করতে
  3. কালো দাগ ও বালি রেখা কমাতে 
  4. চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে
  5. ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করতে

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে: প্রথমে একটি কলার খোসা নিন তারপর ভেতরের সাদা অংশটি একটি পাত্রে নিয়ে আলতো করে ত্বকে লাগান। আপনারা চাইলে কলার খোসার সঙ্গে এলোভেরা মিশিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন। এরপর ৫-১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে কলার খোসা দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। করার খোসার সাদা অংশে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং অকাল বার্ধক্যে দূর করে।

ব্রণের দাগ দূর করতে: ব্রণের দাগ নিয়ে দুশ্চিন্তে ভুগছেন। তাহলে সহজ পদ্ধতিতে ব্রনের দাগ দূর করুন। কলার খোসার কথা নিশ্চয়ই শুনেছি, কিন্তু জানেন কি কলার খোসার মাধ্যমে ব্রণের দাগ দূর করা যায়। কারণ কলার খোসাতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উৎপাদনের ক্ষমতা, যা তোকে ব্রণ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত কলার খোসার সাদা অংশটি ব্রনের ওপর মালিশ করুন এবং কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ৩-৪ বার  করলেই আপনার ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে। 

কালো দাগ ও বালি রেখা কমাতে: কলার খোসার সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে ফ্যাট করে ত্বকের কালো ইচ্ছা না লাগান। ১৫ মিনিট হবার পর হালকা গরম পানি দিয়ে টক ধুয়ে ফেলুন। কি আপনার ত্বকের নরম নমনীয় করবে এবং বালিরেখা দূর করবে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে: চোখের নিচের কালো দাগ একটু অনেক বড় সমস্যা। চোখের নিচে কালো দাগ আমাদের ত্বককে নষ্ট করে দেয়। কলার খোসার সাদা অংশগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট করে চোখে চারিপাশে লাগিয়ে রাখুন। এবং ১০ মিনিট পর নরম তুলা দিয়ে এতোভাবে মুছে ফেলুন। এটি আপনার চোখে ক্লান্তি দূর করবে এবং চোখের কালো দাগ মুছে ফেলবে। তাই আর চিন্তা নাই সামান্য কলার খোসা দিয়ে চোখের কালো দাগ দূর করে ফেলুন। 

ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করতে: কলার খোসা ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেড করে নিন এরপর এসে এক চামচ মধু ও এক চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করুন এরপর ত্বকে  ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখেদিন। ত্বক যখন শুকিয়ে আসবে তখন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বক নরম এবং মসৃন হবে। নিয়মিত এভাবে কলার খোসা, মধু, দুধ দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য চর্চা করুন।

চুলের যত্নে কলার খোসার উপকারিতা

চলে যত্নে কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কখনো শুনিনি বা জানিনা। কারণ সাধারণত আমরা কলা খেয়ে করার খোসাটা ফেলে দেয়। কলার খোসা দিয়ে যে চুলের যত্ন করা যাই কিভাবে করতে হয় এটি সম্পর্কে আমরা একদম অজানা। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। এবং কিভাবে আমরা কলার খোসাটিকে চুলে ব্যবহার করব। 

কলার খোসাতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। কলার খোসাতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কলার খোসা চুলকে নরম ও সিল্কি করে তুলে। যাদের মাথায় অতিরিক্ত খুশকি হয় তারা কলার খোসা ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

এখন নিশ্চয় ভাবছেন কলার খোসা কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন। কলার খোসা আপনারা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। কলার খুব সহজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে মধু, নারকেল এর তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলা ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাটি চুলের গোড়ায় এবং চুলে লাগিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিবেন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ভালো চুল ধুয়ে ফেলবেন। এই ভাবে সপ্তাহে ১-২ ব্যবহার করলেই এর উপকারিতা পাবেন। 

পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক

কলা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমন ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। পাকা কলা দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। পাকা কলার ফেসপ্যাক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু এটা যে আমাদের ত্বকের অনেক উপকারী। পাকা কলার ফেসপ্যাক তৈরি করা একদম সহজ। 

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাকা কলার ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করতে হয়। পাকা কলার ফেসপ্যাক তৈরি করতে প্রথমত আপনার প্রয়োজন হবে একটি ফ্রেশ পাকা কলা, এক টেবিল চামচ মধু, ১/২ চামচ লেবুর রস, ১/২ চামচ অলিভ অয়েল তেল।

  • প্রথমত একটি ভালো পাকা কলা নিয়ে সেটি ব্লেন্ড করে নিবেন। 
  • দ্বিতীয় তো ব্লেন্ড করা কলার সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিবেন।
  • তৃতীয়ত কলা এবং মধুর মিশ্রণের সঙ্গে এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
  • চতুর্থ সমস্ত উপকরণগুলোকে ভালোভাবে পেস্ট করে তৈরি করুন পাকা কলার ফেস প্যাক।
  • পাকা কলার প্যাকটিকে ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখেদিন।
  • ত্বক শুকিয়ে আসলে গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 

কলারের ফেসপ্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি এর ফলাফল পাবেন। ফেস প্যাকটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক আগে তুলনায় উজ্জল এবং মসৃণ হবে। সেই সাথে ত্বকের কোন দাগ বা ব্রণ থাকলে ব্রণের দাগ মিশে যাবে। 

কলার খোসার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ 

কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা থাকলেও কলার খোসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই। তবে কলার মতো কলার খোসাতেও রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। আমরা আজকে জানবো কলার খোসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবং গলার খোসা তে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলার খোসাতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২, ভিটামিন সি, খনিজ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। 

কলার খোসাতে রয়েছি লিউটিন নামক একটি উপাদান যা আপনার চোখকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। কসার খোসাতে ফাইবার থাকে যা হজমে সহয়াতা করে। কলার খোসাতে থাকে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর তো রাখে।

কলার খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা

কলার খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে শুনেছেন কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কলার খোসার স্বাস্থ্য উপাকারিতা  সম্পর্কে। শুনে নিশ্চয়ই আশ্চর্য হচ্ছেন কলার খোসাটা আবার কি উপকারিতা রয়েছে? অবশ্যই উপকারিতা রয়েছে, কলাতে যতটুকু উপকারিতা রয়েছে ঠিক ততটাই উপকারিতা রয়েছে  কলার খোসাতে।

আরো পড়ুনঃ শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার সেরা কিছু নিয়ম 

কিন্তু এতদিন আমরা কলার খোসাকে আগাছা মনে করে ফেলেদিয়েছি। কিন্তু আজকে কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর থেকে কলার খোসা ফেলে দিবেন না। ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং চুলকানির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কলার খোসা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। কলার খোসাতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

কলার খোসা শরীরে ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। কলার খোসা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়াতা করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর কে সুস্থ এবং ফিট রাখে। কলার খোসা গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাই এখন থেকে কলার খোসাকে আগাছা নয় উপকারিতা হিসেবে ব্যবহার করুন।

কলার খোসা সার তৈরি

উপরের লেখা গুলো থেকে এতক্ষণে আপনারা হয়তো জেনেছেন কলার খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। এখন জানবেন কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি। কলার খোসার শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয় গাছের জন্য উপকারিতা রয়েছে। কলার খোসা সার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, কলার খোসার সার গাছের জন্য খুবই উপকারী একটি জৈব সার। কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ত করে। আপনি চাইলে কলার খোঁচা সরাসরি গাছের গোরাতে পুঁজি দিতে পারেন অথবা সার তৈরি করতে পারেন। 

কলার খোসা দিয়ে জৈব সার তৈরির কয়েকটি পদ্ধতির নিচে দেওয়া হলো-

কলার খোসা সরাসরি মাটিতে ব্যবহার:

  • কলার খোসা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। 
  • টবে লাগানো গাছে অথবা মাটিতে লাগানো গাছে গোড়াই গলার খোসার টুকরো গুলো পুতে দিন।
  • কিছুদিন পর কলার খোসা গুলো পচে মাটিতে সার হিসেবে কাজ করবে। 
  • তবে সরাসরি গাছের গোড়ায় বেশি পরিমাণে কলার খোসা ব্যবহার করা উচিত নয়। 

কলার খোসা ভিজানো পানি:

  • কিছু কলার খোসা ছোট ছোট টুকরা করে একটি পাত্র নেই।
  • তারপর সেই পাত্রটি পানি দিয়ে ভরে দিন।
  • অন্তত কলার খোসা গুলো ২-৩ দিন ভালোভাবে ভিজিয়ে  রাখুন। 
  • এরপর কলার খোসা ভেজানো পানিগুলো ছেঁকে নিয়ে গাছের গোড়ায় গোড়ায় দিয়ে দিন। সাধারণত এই পানিকে কলার খোসার চা পানি বলা হয়।
  • কলার খোসার এই পানি গাছের জন্য একটি পুষ্টিকর জৈব সার হিসেবে কাজ করে। 

কম্পোস্ট সার তৈরি:

  • কলার খোসার সঙ্গে অন্যান্য সবজির খোসা, ডিমের খোসা, চা পাতা ইত্যাদি মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি করা হয়।
  • কলার খোসার এই কম্পোস্ট সার একটি দুর্দান্ত ও চমৎকার সার যা ধীরে ধীরে মাটিকে পুষ্টি যোগায় এবং গাছকে পুষ্টি সরবরাহ করে।
  • কলার খোসার সার একটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী সার। এই সার তৈরিতে তেমন কোন খরচ হয় না। এটি গাছের স্বাস্থ্য এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কলার খোসা খাওয়ার নিয়ম

কলা খাওয়ার নিয়ম আমরা সবাই জানি কিন্তু কলার খোসা খাওয়ার নিয়ম আমরা সবাই জানিনা। কলা খাওয়ার নিয়ম খুব ইয় সহজ তেমন কোন ঝামেলা নেই করা। কাটাকাটির কেনো ঝামেলা নেই। কলার খোসা খাওয়ারও তেমন কোন ঝামেলায় কিন্তু কিছু নিয়ম রয়েছে। কলার খোসা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। 

কাঁচা কলার খোসা ভাজি করে খাওয়া যায়। সেদ্ধ করে ভর্তা করেও খাওয়া যায়। বেশ কিছু নিয়ম থাকলেও আপনি যেভাবে খেতে পছন্দ করেন সেভাবে খেতে পারেন। উপরের লেখাগুলোর মাধ্যমে আমরা সবাই কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। তাহলে এখন জেনে নেওয়ার যাক কলার খোসার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

কেনো কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই সেটিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হয়। ঠিক তেমনি কলার খোসা খাওয়ার আগে সেদিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সিদ্ধ করে ভর্তা করে আমরা খেতে পারি। অথবা আমরা চাইলে সেটিকে ভাজ করেও খেতে পারি। পাকা কলার খোসার সাদা অংশ খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। 

শুকনো কলার খোসা গুড়া করে যেকোনো খাবারের সঙ্গে অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি চা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, এটিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কলার খোসা খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, আপনি আপনার পছন্দ ও রুচি মতন খেতে পারেন।

শেষ কথা: কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে 

কলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা  সবাই বিস্তারিত জেনেছি। কলার খোসা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে খেতে হয়,কলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন, স্বাস্থ্যের যত্ন ইত্যাদি কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। করলার খোসাতে রয়েছে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নের জন্য অবশ্যই আমাদের কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। কলার খোসা এখন আর আগাছা নয় কলা খোসা এখন স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। 

প্রিয় পাঠক, আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনারা কলার খোসার সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যমূলক বিষয়ে আর্টিকেল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • shiddik
    shiddik ২০ জুলাই, ২০২৫ এ ১:১৯ PM

    https://www.basicinfoit.com/

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি অল ইনফর্মেশন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url